গল্পঃ অবহেলিত ভালোবাসা
গল্পঃ অবহেলিত ভালোবাসা
_____________
___________________
বারবার রাজু ছেলেটা তার ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়ে অবুঝ ছেলের মতো ঘরে ফিরে আসে ,,,
কোনোভাবেই সে নীলিমার অবহেলিত ভালোবাসা মেনে নিতে পারলো না ।
এভাবেই কেটে গেলো তিনমাস।
এতো অবহেলা কষ্ট যন্ত্রণা পাওয়ার পরও রাজু ছেলেটা মেয়েটাকে ফোন দিয়ে ভালোবাসার কথা বলে।
মেয়েটা কেমন যেনো পূর্বের মতো কথা বলাটা কমিয়ে নিয়েছে, কথা বলার ইচ্ছে নাই বললে নাই।
এভাবে আর কতদিন ছেলেটি সহ্য করবে?
,
একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে খুবই বিনয়ের সাথে রাজী করালো সেই চিরচেনা বাগান বাড়িতে আসতে।
পরের দিন সে মেয়েটির আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে, , ঘন্টা দুয়েক হয়ে গেলো মেয়েটি আসার কোনো নামই নেই।
হঠাৎ সে নীলিমাকে আসতে দেখেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মনকে হালকা করলো ।
একটু কাছে আসতেই রক্তাক্ত অশ্রুভেজা চোখে স্বাভাবিক ভাবে বললো ,, এতো দেরী হলো যে?
এভাবে ঘন্টা খানেক তাদের কথা হলো ।
রাজু বুঝতে পারলো সে আর তাকে পূর্বের মতো ভালোবাসে না।
রাজু এটাও বুঝতে পারলো , " মেয়েটা তাকে নয় অন্য কাউকে ভালোবাসে "।
ভাবতেই বুকটা ধুরধুর করে কেপে উঠলো, আর মনের সকল কষ্টকে শক্তিতে পরিণত করে নরমসুরে মেয়েটিকে বলতে লাগলো,
,
নীলিমা,,,
অনেকদিনের জমানো কথা গুলো তোমাকে কীভাবে বলে ফেলবো বুঝতে পারছি না ।
তুমি হয়তো জানো, "আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি " ?
মিস করি কতটা, যতটা আমাকেও আমি মিস করি নি?
মাঝে মাঝে তোমার কথা ভাবতে গিয়ে আমার খাওয়ার সময় , ঘুমানোর সময়ও ভুল পড়ে যায়।
তোমাকে মুঠোফোনে না পেলে আমি নিঃশ্বাস হারিয়ে ফেলি,, তোমার "হ্যালো " শব্দটা শুনলেই যেনো হারিয়ে যাওয়া নিঃশ্বাস গুলো পূনরায় খুজে পাই।
এই তিন মাস সময়ে তোমার অবহেলিত ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়ে নিরবে চোখের জল ফেলেছি,
আমার বুকে ব্যথা, ফুসফুস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটেছে যা আমি বিহীন অন্য কেউ অনুভব করতে পারবে না।
খুব কষ্ট পেয়েছি , ,, কান্নায় যেনো আমার বুকটি ফেটে গিয়েছিলো ।
তা আমি তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না।
(চোখ মুখ মুছে মনকে শক্ত করে ছাপাসুরে ) তুমি তো বুঝবে না, তিন বছর আগের আবেগীয় নীলিমা, আর বর্তমানে আমার সামনের নীলিমার মধ্যে বিশাল পার্থক্য ।
আমি সেদিনই বুঝতে পারছি, আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ।
আর আমি তোমার অবহেলিত ভালোবাসা নিয়ে কী করবো ?
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,, আমি তোমার জীবন থেকে অনেক অনেক দুরে হারিয়ে যেতে চাই।
আর কখনো ভালোবাসার দাবী নিয়ে তোমার সামনে আসবো না।
।
কথাটা শেষ হতেই ছেলেটা নীলিমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজ গন্তব্যের দিকে রওয়ানা দিলো।
সে বাসায় ফিরলো।
ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে বিমর্ষ মুখে অবিরত চোখের জল ফেলে নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে থাকলো
আর ভাবতে লাগলো, যদি একবার আমাকে ও নিজে থেকে ফোন করে অথবা এস এম এস করে তাহলে আবারো তাকে আপন করে কাছে টেনে নিবো।
কিন্তু সে রাতে মোবাইল হাতে নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে সকাল হয়ে গেলো কোনো রকম একটা কলও আসেনি ।
অপেক্ষা করতে করতে আরো ছ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলো, মেয়েটির কোনো সাড়া শব্দ নেই ।
ছেলেটিও মেয়েটিকে কোনো ভাবেই ভুলতে পারছে না। এভাবেই কেটে গেলো আরো ছ মাস ।
ছেলেটার বড়আপু লন্ডনে থাকে, সেও লন্ডনের যাওয়ার কথা ছিল অনেক আগে থেকেই ।
থাকে সে কথা,
ছেলেটা আগামীকাল দেশ ত্যাগ করে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
সেজন্য রাজুর বাসায় পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব এসে উপস্থিত হয়েছে ।
সেই ফাকে সে নীলিমাকে অনেকবার কল করলো। কিন্তু মোবাইল বন্ধ ছিলো। সে দুইটা এস এম এসও করেছিলো ।
কস্ট গুলো বুকের ভেতর চাপা রেখে ছেলেটা হাসি মুখে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে থাকলো।
এর পরের দিন নিদারুণ কষ্টের স্মৃতি গুলো ফেলে রেখে বিবর্ণ মনে সে চলে গেলো অজানা এক আকাশপথে
।
দু মাস পরে ,
নীলিমা মোবাইলে সিম ভরলো।
কয়েকটা মেসেজ আসলো।
মেসেজ বক্সে ঢুকতেই নয়নের দেয়া দুইটা মেসেজ পেলো।
""আমি আগামীকাল লন্ডনে যাচ্ছি, আপনি নিজের খেয়াল রাখবেন।""
মেসেজের পড়া শেষ হতেই দুই হাত দিয়ে মোবাইল বুকে নিয়ে চোখের পানি ঝর ঝর করে পড়তে থাকলো।
।
গল্পের সমাপ্তি, লেখা গুলো কল্পকাহিনী নয়।
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে আলোচ্য লেখাটি ।
মুরব্বীরা বলেন, "সময় থাকতে সময়ের কদর করা ভালো । নতুবা ফেলে আসা সময়ের জন্য একদিন অনুশোচনা করতে হবে। তখন সেই সময় আর ফিরে পাবে না।
_____________
___________________
বারবার রাজু ছেলেটা তার ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়ে অবুঝ ছেলের মতো ঘরে ফিরে আসে ,,,
কোনোভাবেই সে নীলিমার অবহেলিত ভালোবাসা মেনে নিতে পারলো না ।
এভাবেই কেটে গেলো তিনমাস।
এতো অবহেলা কষ্ট যন্ত্রণা পাওয়ার পরও রাজু ছেলেটা মেয়েটাকে ফোন দিয়ে ভালোবাসার কথা বলে।
মেয়েটা কেমন যেনো পূর্বের মতো কথা বলাটা কমিয়ে নিয়েছে, কথা বলার ইচ্ছে নাই বললে নাই।
এভাবে আর কতদিন ছেলেটি সহ্য করবে?
,
একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে খুবই বিনয়ের সাথে রাজী করালো সেই চিরচেনা বাগান বাড়িতে আসতে।
পরের দিন সে মেয়েটির আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে, , ঘন্টা দুয়েক হয়ে গেলো মেয়েটি আসার কোনো নামই নেই।
হঠাৎ সে নীলিমাকে আসতে দেখেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মনকে হালকা করলো ।
একটু কাছে আসতেই রক্তাক্ত অশ্রুভেজা চোখে স্বাভাবিক ভাবে বললো ,, এতো দেরী হলো যে?
এভাবে ঘন্টা খানেক তাদের কথা হলো ।
রাজু বুঝতে পারলো সে আর তাকে পূর্বের মতো ভালোবাসে না।
রাজু এটাও বুঝতে পারলো , " মেয়েটা তাকে নয় অন্য কাউকে ভালোবাসে "।
ভাবতেই বুকটা ধুরধুর করে কেপে উঠলো, আর মনের সকল কষ্টকে শক্তিতে পরিণত করে নরমসুরে মেয়েটিকে বলতে লাগলো,
,
নীলিমা,,,
অনেকদিনের জমানো কথা গুলো তোমাকে কীভাবে বলে ফেলবো বুঝতে পারছি না ।
তুমি হয়তো জানো, "আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি " ?
মিস করি কতটা, যতটা আমাকেও আমি মিস করি নি?
মাঝে মাঝে তোমার কথা ভাবতে গিয়ে আমার খাওয়ার সময় , ঘুমানোর সময়ও ভুল পড়ে যায়।
তোমাকে মুঠোফোনে না পেলে আমি নিঃশ্বাস হারিয়ে ফেলি,, তোমার "হ্যালো " শব্দটা শুনলেই যেনো হারিয়ে যাওয়া নিঃশ্বাস গুলো পূনরায় খুজে পাই।
এই তিন মাস সময়ে তোমার অবহেলিত ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়ে নিরবে চোখের জল ফেলেছি,
আমার বুকে ব্যথা, ফুসফুস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটেছে যা আমি বিহীন অন্য কেউ অনুভব করতে পারবে না।
খুব কষ্ট পেয়েছি , ,, কান্নায় যেনো আমার বুকটি ফেটে গিয়েছিলো ।
তা আমি তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না।
(চোখ মুখ মুছে মনকে শক্ত করে ছাপাসুরে ) তুমি তো বুঝবে না, তিন বছর আগের আবেগীয় নীলিমা, আর বর্তমানে আমার সামনের নীলিমার মধ্যে বিশাল পার্থক্য ।
আমি সেদিনই বুঝতে পারছি, আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ।
আর আমি তোমার অবহেলিত ভালোবাসা নিয়ে কী করবো ?
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,, আমি তোমার জীবন থেকে অনেক অনেক দুরে হারিয়ে যেতে চাই।
আর কখনো ভালোবাসার দাবী নিয়ে তোমার সামনে আসবো না।
।
কথাটা শেষ হতেই ছেলেটা নীলিমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজ গন্তব্যের দিকে রওয়ানা দিলো।
সে বাসায় ফিরলো।
ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে বিমর্ষ মুখে অবিরত চোখের জল ফেলে নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে থাকলো
আর ভাবতে লাগলো, যদি একবার আমাকে ও নিজে থেকে ফোন করে অথবা এস এম এস করে তাহলে আবারো তাকে আপন করে কাছে টেনে নিবো।
কিন্তু সে রাতে মোবাইল হাতে নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে সকাল হয়ে গেলো কোনো রকম একটা কলও আসেনি ।
অপেক্ষা করতে করতে আরো ছ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলো, মেয়েটির কোনো সাড়া শব্দ নেই ।
ছেলেটিও মেয়েটিকে কোনো ভাবেই ভুলতে পারছে না। এভাবেই কেটে গেলো আরো ছ মাস ।
ছেলেটার বড়আপু লন্ডনে থাকে, সেও লন্ডনের যাওয়ার কথা ছিল অনেক আগে থেকেই ।
থাকে সে কথা,
ছেলেটা আগামীকাল দেশ ত্যাগ করে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
সেজন্য রাজুর বাসায় পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব এসে উপস্থিত হয়েছে ।
সেই ফাকে সে নীলিমাকে অনেকবার কল করলো। কিন্তু মোবাইল বন্ধ ছিলো। সে দুইটা এস এম এসও করেছিলো ।
কস্ট গুলো বুকের ভেতর চাপা রেখে ছেলেটা হাসি মুখে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে থাকলো।
এর পরের দিন নিদারুণ কষ্টের স্মৃতি গুলো ফেলে রেখে বিবর্ণ মনে সে চলে গেলো অজানা এক আকাশপথে
।
দু মাস পরে ,
নীলিমা মোবাইলে সিম ভরলো।
কয়েকটা মেসেজ আসলো।
মেসেজ বক্সে ঢুকতেই নয়নের দেয়া দুইটা মেসেজ পেলো।
""আমি আগামীকাল লন্ডনে যাচ্ছি, আপনি নিজের খেয়াল রাখবেন।""
মেসেজের পড়া শেষ হতেই দুই হাত দিয়ে মোবাইল বুকে নিয়ে চোখের পানি ঝর ঝর করে পড়তে থাকলো।
।
গল্পের সমাপ্তি, লেখা গুলো কল্পকাহিনী নয়।
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে আলোচ্য লেখাটি ।
মুরব্বীরা বলেন, "সময় থাকতে সময়ের কদর করা ভালো । নতুবা ফেলে আসা সময়ের জন্য একদিন অনুশোচনা করতে হবে। তখন সেই সময় আর ফিরে পাবে না।
Comments
Post a Comment