Posts

যার কারনে বন্ধুত্ত্ব নষ্ট হয়ে শত্রুতায় পরিনত হবে।

গভীর বন্ধুত্ত্ব তখনই চরম শত্রুতায় রুপ নেয়, যখন একে অপরকে ভুল বুঝে। বাস্তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে না, যার কারনে বন্ধুত্ত্ব নষ্ট হয়ে শত্রুতায় পরিনত হবে। আর যদি এমন কিছু ঘটে, তবে বুঝতে হবে তা বন্ধুত্ত্ব ছিলো না।

~তোমার দেয়া একটি উপহার

~তোমার দেয়া একটি উপহার . . "আমাকে কাদানোর জন্য তোমাকে থ্যাক্স" . নুসরাতে'র এই একটা জিনিসই আমার ভালো লাগেনা। সব সময় স্বাভাবিক কথার মাঝে এমন করে কথা বলে যা শুনতে অন্যরকম কেমন যেন একটু মনে হয়। কিন্তু সে আবারও সেই কথাটা বলল। . "থ্যাক্স এগেইন মিস্টার আলভি, থ্যাকিউ সো মাচ, আমাকে কাদিয়ে তুমি অনেক ভালো একটা কাজ করেছো। . হাতটা তালি দিয়ে বলছে, "কনগ্রাচুলেশান, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ"। পাগলামো করতে করতে নিজেই বিড়বিড় করতে করতে চলে গেলো। হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে রইলাম, এটা কি হলো! প্রথমে ও নিজেই পাগলীর মত কিসব বলল আবার নিজেই...। পাগলী একটা। . এখানেই কি শেষ? আমি বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে তে বাসে উঠেছি। ভীড়ের মধ্যে তার ফোন। আবার নিশ্চয়ই একা একাই কিসব বলে ফোনটা কাটবে। . "বলো, হ্যা আমি বাসে চড়েছি" "তুমি অনেক ভালো কাজ করলে, তোমাকে পুরষ্কার দেয়া উচিত..থ্যাকিউ মিষ্টার, থ্যাকিউ সো মাচ" . নিজেই বিড় বিড় করে ফোনটা কেটে দিলো। পাগলী একটা। আজ হুট করেই নুসরাত এমন একটা কথা বলে ফেলেছে যেটা শোনার জন্য প্রথমত প্রস্তুত তো ছিলামই না। দ্বিতীয়ত, এমন টা শুনবো আমি কখনো ভাবতেও পারিনি। ...

মানুষের পায়ের দিকে লক্ষ্য করে দেখি ওরা কোন ব্রান্ডের জুতো পড়ে আজ বেরিয়েছে!

মাঝে মাঝে ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় আশে পাশের শত শত মানুষের পায়ের দিকে লক্ষ্য করে দেখি ওরা কোন ব্রান্ডের জুতো পড়ে আজ বেরিয়েছে! . তারপর নিজের পায়ের দিকেও তাকিয়ে মনে মনে বলি, শালা! কথায় কথায় গরীব বলে এতো ভাব ধরোস্ কেরে! এপেক্স লেটেস্ট মডেল তো তার পায়ে! . তারপর তাদের প্যান্টের দিকে তাকায়! কুঁচকানো প্যান্ট! শেষ কবে আইরন করেছিলো কে জানে! কেউ কেউ তো প্যান্ট লুঙ্গীর মতো গিট্টু গিয়ে পড়ে! . তারপর নিজের দিকে তাকিয়ে বলি, শালা! ফেরদৌস/খাজা থেকে ৬৫০ টাকা দিয়ে প্যান্ট সেলাই করে ভাব ধরোস তুই গরীব মানুষ! . মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ওদের জাইঙ্গাটাও একটু দেখতে! ছেঁড়া টেড়া আছে কি না! যদিও শর্ট প্যান্ট একটু ফুটো থাকলে আমরা মধ্যবিত্তরাও চালিয়ে নিই! . ওদের শার্টের সাথেও আমাদের শার্টেরও বেশ পার্থক্য থাকে! তবুও আমরা মধ্যবিত্ত বলে বলে গলা ফাটিয়ে ফেলি! . গুরু এ কেমন জীবন দিলা দয়াল! পাশে দিয়ে প্রাইভেট কার যায় আমার নাই! আই ফোন এইট নাই! রেডিসন ব্লু তে নাস্তা করার তৌফিক নাই! কত কিছু নাই! আহারে জীবন! বালের জীবন! বাধ্য হয়ে টাকা বাঁচাতে বাসে চলতে হয়! কত কি! . কিন্তু নিম্নবিত্তদের মধ্যে একটা বিষয় থাকে, আল্লাহ খুওব ভ...

শরীরের চামরা দেখে ভালোবাসতে যেওনা

ভালোবাসা এমন একটা জিনিস কী আর বলবো,জাত, ধর্ম কিছু বুঝে না,মানে না কোনো মানা। কিন্তু কেউ প্রেম করার আগে কোনো ভাবে না বিষয়টা তাদের পরিবার কিভাবে নিবে যদি একটা বার ভাবতো তাহলে হয়তো পরিবারের দোহাই দিয়ে কেউ কোনো দিন ব্যাকআপ করতো না। অনেকেই হয়তো চোখের ভালোবা সাকে গুরুত্ব দেয়, প্রথম কয়েকদিন খুব কেয়ার করে, আরো কত কী বলে শেষ করা যাবেনা। কিন্তু কিছু দিন পরে একমানুষকে তাদের আর ভালো লাগেনা, এমনই যদি করার ইচ্ছা থাকে তাহলে প্রেম করার কী দরকার ছিলো। এসব ভালোবাসা নয় বরং ভালোলাগা। ভালোবাসা তো সেটাই যেটার কোনো কারন নাই, ভালোবাসা সেটাই যেটা মাত্র একটা মেসেজের আশায় সারাটা রাত পার করে দেয়, সত্যি কারের ভালোবাসা কখনো হারায় না আর হারাবেও না ভালোবাসলেই যে কাছে পেতে হবে তা কিন্তু নয়,দূর থেকেও ভালোবাসা যায় যে ভালোবাসা থাকেনা কোনো প্রতারনা থাকেনা মিত্যা অজুহাত। যুগে যুগে ভালোবাসার অমরকীর্তি রয়েছে। কেউ কী একটা বারও ভাবে যাকে সে অবহেলা করছে সে থাকে কতটা ভালোবাসে। শরীরের চামরা দেখে ভালোবাসতে যেওনা, এটা ক্ষনস্হায়ী। এত কিছু পরেও ভালোবাসে প্রত্যেকের জিবনে। ভালো থাকুক সবার যত্নে গড়া ভালোবাসা।

পরিস্থিতীর স্বীকার

ঘটনা ১ পরিস্থিতীর স্বীকার . - অাবির অামার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।তুমি প্লিজ কিছু কর। - কি করব বল? - অামরা কি এক হতে পারবনা? - অামি তো চাকরি করিনা। এমতাবস্থায় তোমার ফ্যামিলিতে কিভাবে বলব অামাদের রিলেশনের কথা?তুমি কিছু করতে পারবা? - না,কিন্তু অামি তোমাকে হারাতে চাইনা। - এক কাজ কর তুমি তোমার বাবা-মার পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করে নাও। - কি বলছ তুমি? - হ্যাঁ করে নাও। দেখ তোমায় নিয়ে অামি পালিয়ে যেতে পারবনা।অার পালিয়ে নিয়ে গেলেও সুখে রাখতে পারবনা।এখন তুমি যতই বল অামার সাথে মরিচ দিয়ে ভাত খেয়েও থাকতে পারবা।একসময় সেটা তোমার কাছে অসহ্য লাগবে।অার অামি সেটা মেনে নিতে পারবনা। - (মেয়েটি কাদছে) - দেখ একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে।তুমিও ভাল থাকবা অামিও ভাল থাকব।তুমি বিয়ে করে নাও।ভেবোনা অামি তোমায় পেতে চাইনা।খুব পেতে চাই তোমাকে।কিন্তু কিছুই যে করার নেই। - (মেয়েটি কেদেই যাচ্ছে) ছেলেটা এরকম অারো অনেক কিছু বলে ফোনটা কেটে দেয়। কিছুদিন পর মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়। শত কষ্ট বুকে নিয়ে মেয়েটা শ্বশুরবাড়ি চলে যায়।অার ওই দিকে ছেলেটা সারারাত কাদতেই অাছে।তবুও মনে মনে বলে... ''ভাল থাকুক ও'' এভাবেই একটা সম্পর্কের ইতি ঘটে। ...

"তুমি যে আর সেই তুমি নেই...."

"তুমি যে আর সেই তুমি নেই...." . . লাস্ট ঠিক কবে তোমার সাথে ঠিক মত কথা হয়েছিল মনে নেই ।আর মনে থাকবেই বা কি ভাবে । তুমি যে আর সেই তুমি নেই । . সত্তি কি তুমি আমায় ভুলে গেছ? এত সহজেই ভুলে যেতে পারলা আমায় ? এত সহজেই আমার জায়্গাটা দিতে পারলা তাকে ! . হুম দিবেই তো তাকে আমার জায়গাটা তাকে কারণ আমার সাথে যা করেছ সব যে ছিল শুধু তোমার অভিনয় । . কেন কি দোষ ছিল আমার ? বল । কি এমন অপরাধ করেছিলাম আমি ? অজানাই থেকে গেল সব আমার জন্য । . আমি যদি নিজের অজান্তে কোনো দোষ করেও থাকি তাহলে কি আমাকে একবার বুঝিয়ে বলা যেত না ।মনে আছে তোমার তুমি আমায় বলেছিলে একবার হাত টা ধরেই দেখো না জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার সাথে থাকবে । এত সহজে সেই সব ওয়াদা ভুলে গেলে তুমি । . খুব তো বলেছিলে সব সময় পাশে থাকবে আমার । খুব তো বলেছিলে বাবু তুমি কাদলে আমার একদম সহ্য হয় না ,মনে হয় যে বুকটা ফুটো হয়ে যাচ্ছে । . আর এখন যে আমি সারাদিন রাত কেদে মরছি তোমার জন্য এখন কি তোমার বুকটা আর ফুটো হয় না ? . তোমার মনে আছে আগে যখন আমি কোনো দোষ করতাম তখন তুমি আমাকে বকা দিলে আমি ফোনের এ পাশ থেকে নিরবে কাদলেও তুমি কি ভাবে যেন...

কিছু মানুষ ভালোবাসার কাঙ্গাল

কিছু মানুষ ভালোবাসার কাঙ্গাল।তারা ভালোবাসার বিনিময়ে শুধু ভালোবাসাই চায়।তাদের চাওয়া খুব অল্প।তারা সময়সময় চায় প্রিয় মানুষটি তাকে বড্ড ভালোবাসুক।প্রিয় মানুষের সকল স্বপ্ন যেন তাকে ঘিরেই হয়।তার জন্য ভালোবাসার বিপরীত শব্দট যেন ভালোবাসাই হয়।ভালোবাসার বিপরীত যেন অবহেলা না হয়।ভালোবাসার বিপরীত যেন করুনা না হয়। মানুষ বড্ড অভিমানী প্রানী।প্রতিটি মানুষ চায় তার প্রিয় মানুষটি যেন ফোন কলে ভয়েস শুনেই বলে দিতে পার তার ঠান্ডা লেগেছে।প্রতিটি মানুষ চায় ফোনে ব্যালেন্স নেই না বললেও প্রিয় মানুষটি বু ঝতে পারুক।প্রতিটি মানুষ চায় মন খারাপে না বললেও প্রিয় মানুষটি বুঝতে পারুক।প্রতিটি মানুষ খুঁটিনাটি এইসব বিষয় প্রিয় মানুষের কাছ থেকে আশা করে।যখনি আশাহত হয় তখনি মনের মাঝে একধরনের অভিমান বাসা বাধে। অভিমান একটা সময় দূরত্ব সৃষ্টি করে। অভিমানে যতই দূরত্ব সৃষ্টি হোক না কেন প্রিয় মানুষের খারাপ সময়ে আপনি দূরে সরে থাকতে পারবেন না।সে আপনাকে যতই দূরে ঠেলে দিক না কেন আপনি দূরে সরে যেতে পারবেন না।নিজেকে আড়াল করার ব্যার্থ চেষ্টা করতে গেলে আগের চেয়ে বেশি মায়ায় পড়ে যাবেন।মায়া বড্ড খারাপ জিনিস,মায়ার বাধনে একবার আটকা পড়লে সেখান থেকে ...